নবজাতক শিশুর বমি হলে করণীয়
শিশুর বমি হলে করণীয়
- খাদ্যে বিষক্রিয়া: দূষিত খাবার খাওয়ার ফলে শিশুর পেট খারাপ হয়ে বমি বমি ভাব হতে পারে।
- ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ: সাধারণ সর্দি, কাশি বা অন্যান্য সংক্রমণের কারণে শিশু বমি বমি ভাব অনুভব করতে পারে।
- মোশন সিকনেস: যানবাহনে চলাচলের সময় শিশুরা মোশন সিকনেস অনুভব করতে পারে এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।
- ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে শিশুর বমি বমি ভাব হতে পারে।
- খাবার অ্যালার্জি: কোনো নির্দিষ্ট খাবারের প্রতি অ্যালার্জি থাকলে শিশু খাবার খাওয়ার পর বমি বমি ভাব অনুভব করতে পারে।
- পেটে গ্যাস: অতিরিক্ত খাওয়া বা ভুল খাবার খাওয়ার ফলে শিশুর পেটে গ্যাস হয়ে বমি বমি ভাব হতে পারে।
- দাঁত গজানো: দাঁত গজানোর সময় কিছু শিশু বমি বমি ভাব অনুভব করতে পারে।
- গুরুতর সমস্যা: কখনো কখনো বমি বমি ভাব কোনো গুরুতর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে, যেমন মস্তিষ্কের টিউমার বা অন্ত্রের সমস্যা।
অন্যান্য পোস্টের লিংক
- পানিফল খাওয়ার উপকারিতা
- ১ মাসের শিশুর সর্দি হলে করণীয়
- নামাজ ভঙ্গের কারণ সমূহ বিস্তারিত
- ফরজ নামাজের পর নবীজির আমল
- বাচ্চাদের চোখে কেতুর হলে করণীয় কি
শিশুর বমি বমি ভাব কেন হয়
- পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়ান: বমি বমি ভাবের কারণে শিশুর শরীরে পানিশূন্যতা হতে পারে, তাই তাকে ছোট ছোট করে ঘন ঘন পানি খাওয়ান।
- নরম খাবার খাওয়ান: বমি বন্ধ হওয়ার পর নরম খাবার যেমন চালের পানি, বিস্কুট ইত্যাদি খাওয়ান।
- মসলাদার এবং তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন: এই ধরনের খাবার বমি বমি ভাব বাড়িয়ে দিতে পারে।
- ডাক্তারের পরামর্শ নিন: যদি বমি বমি ভাব বেশি সময় ধরে থাকে বা অন্য কোনো উপসর্গ থাকে তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
নবজাতক শিশুর বমি হলে করণীয়
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন:
- যদি শিশু বারবার বমি করে।
- যদি বমির সাথে রক্ত বা কালো রঙের কিছু বের হয়।
- যদি বমির সাথে জ্বর, ডায়রিয়া বা পেট ব্যথা হয়।
- যদি বমি এক দিনের বেশি সময় ধরে চলে।
- যদি বমি হওয়ার ফলে শিশু খাবার খেতে না পারে এবং পানিশূন্যতা অনুভব করে।\
শিশুর বমি হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা, যার অনেক কারণ থাকতে পারে। যেমন খাদ্যে বিষক্রিয়া, ভাইরাস সংক্রমণ, অ্যালার্জি ইত্যাদি। বমি বন্ধ করার আগে এর কারণ জানা খুব জরুরি।
শিশুর বমি বন্ধ করার উপায়:
- পানিশূন্যতা দূর করুন: বমি হলে শরীরে পানিশূন্যতা হতে পারে। তাই শিশুকে ছোট ছোট করে ঘন ঘন পানি খাওয়ান। ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয়ও দেয়া যেতে পারে।
- নরম খাবার খাওয়ান: বমি বন্ধ হওয়ার পর নরম খাবার যেমন চালের পানি, বিস্কুট, বাঁশি ইত্যাদি খাওয়ান।
অতিরিক্ত বমি হওয়ার কারণ কি?
- মসলাদার এবং তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন: এই ধরনের খাবার বমি বাড়িয়ে দিতে পারে।
- বিশ্রাম দিন: শিশুকে যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্রাম দিন।
- ডাক্তারের পরামর্শ নিন: যদি বমি বারবার হয় বা অন্য কোনো উপসর্গ থাকে তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডাক্তার শিশুর বয়স, ওজন এবং বমির কারণ বিবেচনা করে উপযুক্ত ওষুধ বা চিকিৎসা নির্ধারণ করতে পারবেন।
মনে রাখবেন: এই তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে। কোনো রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অত্যন্ত জরুরি।