বাচ্চাদের চোখে কেতুর হলে করণীয় কি
বাচ্চাদের চোখে কেতু হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। এটি সাধারণত অ্যালার্জি, ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে হয়। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই, সঠিক যত্ন নিলে খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।
কেতু হলে কী কী লক্ষণ দেখা যায়?
- চোখ লাল হয়ে যাওয়া
- চোখ চুলকানি
- চোখে পানি পড়া
- পাতলা পাতলা স্বচ্ছ বা হলুদ রঙের পদার্থ চোখের কোণে জমে থাকা
- চোখে ব্যথা
- বাচ্চাদের জ্বর কমানোর ঘরোয়া পদ্ধতি
- পানিফল খাওয়ার উপকারিতা
- ১ মাসের শিশুর সর্দি হলে করণীয়
- নবজাতক শিশুর বমি হলে করণীয়
- যষ্টিমধুর উপকারিতা কি
- দুশ্চিন্তা ও বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া
বাচ্চাদের চোখে কেতু হলে কী করবেন?
চোখ পরিষ্কার রাখুন:
পরিষ্কার পানি দিয়ে বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চোখের ড্রপ ব্যবহার করে চোখ পরিষ্কার করুন।
পরিষ্কার তুলার সাহায্যে চোখের কোণে জমে থাকা পদার্থ মুছে ফেলুন।
চোখে হাত না দেওয়ার জন্য বাচ্চাকে সাবধান করুন।
বাচ্চাদের চোখে কেতুর হয় কেন
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:
যদি কেতুর সাথে জ্বর, গলা ব্যথা বা অন্য কোনো উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চিকিৎসক চোখের পরীক্ষা করে আপনার বাচ্চার জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা নির্ধারণ করে দেবেন।
- চোখে সংক্রমণ না ছড়ানোর জন্য সাবধানতা অবলম্বন করুন:
বাচ্চা ব্যবহৃত তোয়ালে, বালিশ, চাদর ইত্যাদি নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
বাচ্চাকে অন্যদের সাথে ব্যক্তিগত জিনিসপত্র শেয়ার করতে দেবেন না।
- বাচ্চার খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দিন:
বাচ্চার খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার যেমন গাজর, পালং শাক, পেঁপে ইত্যাদি রাখুন।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে উৎসাহিত করুন।
- বাচ্চাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিন:
- বাচ্চাকে পর্যাপ্ত ঘুম দিন যাতে তার শরীর ভালোভাবে সুস্থ হতে পারে।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
- যদি কেতু দুই-তিন দিনের মধ্যে না সেরে যায়।
- যদি চোখে ব্যথা অনেক বেশি হয়।
- যদি চোখ ফুলে যাওয়া বা লাল হয়ে যাওয়া বাড়তে থাকে।
- যদি চোখের দেখার ক্ষমতা কমে যায়।
- যদি চোখে পুঁজ জমে থাকে।
মনে রাখবেন: বাচ্চার চোখে কেতু হলে ঘরে বসে চিকিৎসা করার চেষ্টা করবেন না। অবশ্যই একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
নবজাতকের চোখে দুধ গেলে করণীয়
নবজাতক শিশুর চোখে দুধ গেলে সাধারণত কোন গুরুতর সমস্যা হয় না তবে দুধের কারণে চোখে কিছুটা জ্বালাপোড়া বা লাল হয়ে যাওয়া লক্ষ্য করা যেতে পারে।
কেন এমন হয়?
দুধে কিছু উপাদান থাকে যা চোখের জন্য কিছুটা উদ্দীপক হতে পারে। যদি দুধ চোখের ভেতরে ঢুকে যায়, তাহলে এটি চোখে কিছুটা জ্বালাপোড়া বা লাল হয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে।
কি করবেন?
- শান্ত থাকুন: সাধারণত এটি কোনো গুরুতর সমস্যা নয়।
- চোখ পরিষ্কার করুন: পরিষ্কার পানি দিয়ে বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চোখের ড্রপ ব্যবহার করে চোখ পরিষ্কার করুন।
- নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন: যদি চোখের লালভাব বা জ্বালাপোড়া বাড়তে থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- দুধ খাওয়ানোর সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন: শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সময় মাথাকে একটু উঁচু রাখুন যাতে দুধ চোখে না ঢুকে যায়।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
- যদি চোখের লালভাব বা জ্বালাপোড়া বাড়তে থাকে।
- যদি চোখে পুঁজ জমে থাকে।
- যদি শিশু জ্বর করতে থাকে।
মনে রাখবেন: শিশুর চোখের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার শিশুর দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য শুভকামনা।
আপনার কি আরও কোনো প্রশ্ন আছে? থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন
মনে রাখবেন: এই তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে। কোনো রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।