তায়াম্মুমের ফরজ গুলো কি কি
তায়াম্মুমের পদ্ধতি
পানি না পেয়ে অজু করার বিকল্প হিসেবে ইসলামে তায়াম্মুমের বিধান রয়েছে। তায়াম্মুম করার জন্য পবিত্র মাটির উপর হাত মাসেহ করা হয়।
তায়াম্মুমের পদ্ধতি:
- নিয়ত: সর্বপ্রথম তায়াম্মুম করার নিয়ত করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, “আমি আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর সুন্নত অনুসরণ করে পানি না পাওয়ার কারণে নামাজ পড়ার জন্য তায়াম্মুম করছি।”
- হাত মাসেহ: উভয় হাতের তালু পবিত্র মাটিতে স্পর্শ করে আঙুলগুলো খুলে ধরে সামনে-পেছনে একবার ঘষতে হবে।
- মুখ মাসেহ: উভয় হাত দিয়ে পুরো মুখমণ্ডল মাসেহ করতে হবে।
- হাত মাসেহ: আবার হাতে মাটি লাগিয়ে প্রথমে বাম হাত দিয়ে ডান হাতের কনুই পর্যন্ত এবং পরে ডান হাত দিয়ে বাম হাতের কনুই পর্যন্ত মাসেহ করতে হবে।
\
হায়েজ অবস্থায় কুরআন পড়ার বিধান
তায়াম্মুম এর শর্ত:
- পানি না পাওয়া: পানি না পাওয়া বা পানি ব্যবহার করা শরীরে ক্ষতি করবে এমন অবস্থা।
- পবিত্র মাটি: তায়াম্মুমের জন্য পবিত্র মাটি ব্যবহার করতে হবে।
- নিয়ত: তায়াম্মুমের নিয়ত করতে হবে।
- মুখ ও হাত মাসেহ: পুরো মুখমণ্ডল এবং উভয় হাত কনুই পর্যন্ত মাসেহ করতে হবে।
হারিয়ে যাবো একদিন আমি লিরিক্স
মাটি ছাড়া তায়াম্মুমের নিয়ম
তায়াম্মুম এর ফজিলত:
- পানি না পেয়েও ইবাদত করার সুযোগ করে দেয়।
- আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর সুন্নত অনুসরণ করা।
- আল্লাহর কাছে পুরস্কার অর্জন।
তায়াম্মুমের বিষয়ে আরো জানতে আপনি কোনো আলেমের কাছে যোগাযোগ করতে পারেন।
নোট: তায়াম্মুম করার পর যদি পানি পাওয়া যায়, তাহলে অজু করে নেওয়া উত্তম।
মাটি ছাড়া তায়াম্মুম? এটি সম্ভব নয়।
তায়াম্মুমের জন্য শুধুমাত্র পবিত্র মাটি ব্যবহার করা হয়। কোনোভাবেই মাটি ছাড়া তায়াম্মুম করা যাবে না।
কেন মাটি?
- ইসলামী বিধান: ইসলামে তায়াম্মুমের জন্য স্পষ্টভাবে পবিত্র মাটি ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
- পবিত্রতার প্রতীক: মাটিকে পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তায়াম্মুমের জন্য উপযোগী মাটি:
- পবিত্র মাটি: যে মাটিতে কোনো নাজায়েজ কিছু মিশ্রিত নেই।
- সাধারণ মাটি: যেমন- বাড়ির দেওয়াল, মাটির মেঝে, পাথর ইত্যাদি।
- পোড়ামাটি: ইট, টাইলস ইত্যাদি।
তবে মনে রাখবেন:
- ক্যামিকেল ব্যবহৃত মাটি: যে মাটিতে ক্যামিকেল বা রং করা আছে সেটি দিয়ে তায়াম্মুম করা যাবে না।
- ধুলা-বালু: তায়াম্মুমের জন্য ধুলা-বালু ব্যবহার করলে মাসেহ করার আগে তা ঝেড়ে ফেলতে হবে।
সংক্ষেপে বলতে গেলে, তায়াম্মুমের জন্য শুধুমাত্র পবিত্র মাটি ব্যবহার করা যাবে। অন্য কোনো বস্তু দিয়ে তায়াম্মুম করা শরীয়তসম্মত নয়।
তায়াম্মুমের ফরজ গুলো কি কি
তায়াম্মুমের ফরজ মোট তিনটি:
নিয়ত: তায়াম্মুম করার আগে মনে মনে নিয়ত করতে হবে। নিয়তের উদ্দেশ্য হলো, পানি না পাওয়ার কারণে নামাজ পড়ার জন্য তায়াম্মুম করা।
মুখ মাসেহ: উভয় হাত দিয়ে পুরো মুখমণ্ডল একবার মাসেহ করতে হবে।
হাত মাসেহ: উভয় হাত দিয়ে কনুই পর্যন্ত মাসেহ করতে হবে। প্রথমে বাম হাত দিয়ে ডান হাতের কনুই পর্যন্ত এবং পরে ডান হাত দিয়ে বাম হাতের কনুই পর্যন্ত মাসেহ করতে হবে।
এই তিনটি ফরজ ঠিকভাবে আদায় করলে তায়াম্মুম সহিহ হবে।
তায়াম্মুমের সুন্নত:
- বিসমিল্লাহ: তায়াম্মুম শুরু করার আগে বিসমিল্লাহ পড়া।
- মাটি ঝাড়া: মাটিতে হাত মাসেহ করার পর অতিরিক্ত মাটি ঝেড়ে ফেলা।
তায়াম্মুমের শর্ত:
- পানি না পাওয়া: পানি না পাওয়া বা পানি ব্যবহার করা শরীরে ক্ষতি করবে এমন অবস্থা।
- পবিত্র মাটি: তায়াম্মুমের জন্য পবিত্র মাটি ব্যবহার করতে হবে।
মনে রাখবেন:
- তায়াম্মুম করার পর যদি পানি পাওয়া যায়, তাহলে অজু করে নেওয়া উত্তম।
আপনার আরো কোনো প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।