নামাজে বায়ু বের হয়ে গেলে করনীয়
জামা’আতে নামাজ পড়ার সময় যদি আপনি সামনের কাতারে থাকেন এমতাবস্থায় কারো বায়ু নির্গত হয়, তাহলে তার জন্য শরীয়তের বিধান হলো:
স্বপ্নে অজু করতে দেখলে কি হয় জেনে নিন
১. যদি বায়ু নির্গত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হন: যদি নিশ্চিত হন যে বায়ু নির্গত হয়েছে,
তাহলে তৎক্ষণাৎ নামাজ ছেড়ে দেওয়া ওয়াজিব। কারণ বায়ু নির্গত হলে ওযু ভেঙে যায় এবং ওযু ছাড়া নামাজ শুদ্ধ নয়।
নামাজে বায়ু বের হয়ে গেলে করনীয়
২. কাতার থেকে সরে যাওয়া: নামাজ ছেড়ে দেওয়ার সময় চেষ্টা করবেন যেন আপনার
কারণে অন্যদের মনোযোগে ব্যাঘাত না ঘটে। সম্ভব হলে নীরবে কাতার থেকে সরে যান।
৩. ওযু করা: এরপর পুনরায় ভালোভাবে ওযু করে নিন।
নামাজে বায়ু আসলে কি করনীয়
৪. পুনরায় জামাতে শরীক হওয়া: যদি ইমাম সাহেব তখনও সালাম না ফিরিয়ে থাকেন
এবং আপনি দ্রুত ওযু করে আসতে পারেন, তাহলে পুনরায় জামাতে শরীক হতে পারেন এবং
বায়ু বের হলে কি নামাজ হবে
যে রাকাতগুলো ছুটে গেছে সেগুলো ইমামের সালাম ফেরানোর পর আদায় করে নিতে পারেন।
৫. যদি বায়ু নির্গত হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ হয়: যদি শুধু সন্দেহ হয় যে বায়ু নির্গত হয়েছে,
মুরুব্বীদের পাশে সালাম করা যাবে কিনা
নামাজ ভঙ্গের কারণ সমূহ বিস্তারিত
জামাতে সালাত আদায়ের গুরুত্ব ও ফজিলত
কিন্তু কোনো শব্দ বা গন্ধ না পান, তাহলে নামাজের মধ্যে থাকা অবস্থায় সন্দেহের দিকে মনোযোগ দেবেন না।
যতক্ষণ না আপনি নিশ্চিত হচ্ছেন (শব্দ বা গন্ধের মাধ্যমে), ততক্ষণ নামাজ চালিয়ে যান। শুধুমাত্র সন্দেহের বশে নামাজ ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়।
জামাতে নামাজ পড়ার সময় বায়ু বের হলে করণীয় কি
ইসলামী শরীয়তের মূলনীতি হলো, যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া না যায়,
ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্বের অবস্থাই বহাল থাকে। এক্ষেত্রে আপনার ওযু ছিল, তাই যতক্ষণ না আপনি নিশ্চিত হচ্ছেন যে তা ভেঙেছে,
যে লক্ষণে বুঝবেন জীনে ধরেছে ক্লিক করুন
ততক্ষণ আপনার ওযু আছে বলেই ধরা হবে।
তবে, যদি এমন পরিস্থিতি বারবার ঘটতে থাকে এবং আপনার জন্য নামাজে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে,
নামাজের মধ্যে বায়ু নির্গত হলে
তাহলে একজন অভিজ্ঞ আলেমের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত।
তিনি আপনার বিশেষ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আরও ভালো দিকনির্দেশনা দিতে পারবেন।