কুরবানী দেওয়ার নিয়ম ও পদ্ধতি

কুরবানী দেওয়ার নিয়ম ও পদ্ধতি

কুরবানী দেওয়ার নিয়ম ও পদ্ধতি

কোরবানি দেওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম নিচে দেওয়া হলো:

 

কুরবানী দেওয়ার নিয়ম ও পদ্ধতি

 

কোরবানির পশু নির্বাচন:
শারীরিক সুস্থতা: কোরবানির পশু অবশ্যই সুস্থ ও সবল হতে হবে।খুঁতযুক্ত পশু যেমন – কানা,

খোঁড়া, রোগা, দুর্বল অথবা অঙ্গহানি হওয়া পশু কোরবানি করা উচিত নয়।

বয়স: কোরবানির পশুর নির্দিষ্ট বয়স হতে হবে। গরু ও মহিষের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ২ বছর, ছাগল ও

ভেড়ার ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১ বছর এবং উটের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫ বছর বয়স হতে হবে।

কুরবানী কি ভাগে দেওয়া যায়

সংখ্যা: ছাগল, ভেড়া বা দুম্বা দিয়ে শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি কোরবানি দিতে পারবেন।

গরু, মহিষ ও উটে সর্বোচ্চ সাতজন শরিক হতে পারবেন।

কোরবানি করার সময়:
কোরবানি ঈদের দিন অর্থাৎ জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু করে ১২ তারিখ সূর্যাস্ত

পর্যন্ত করা যায়। তবে প্রথম দিন কোরবানি করা উত্তম।

 

কুরবানী দেওয়ার নিয়ম ও পদ্ধতি

কোরবানির পশু কিবলামুখী করে শোয়াতে হবে।

 ধারালো ছুরি ব্যবহার করতে হবে এবং দ্রুত জবাই করতে হবে যাতে পশুর কম কষ্ট হয়।


 জবাই করার আগে “বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার” (بِسْمِ اللهِ اَللهُ اَكْبَر) বলতে হবে।


জবাইয়ের সময় খাদ্যনালী, শ্বাসনালী ও দুটি প্রধান রক্তনালী কাটতে হবে।

 

kurbani-dewar-niyom

 

কোরবানির গোশত বণ্টন:
কোরবানির গোশত তিন ভাগে ভাগ করা উত্তম – এক ভাগ নিজের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন

ও বন্ধুদের জন্য এবং এক ভাগ গরিব ও অভাবীদের জন্য। তবে পুরো গোশত নিজেরা রাখলেও কোনো অসুবিধা নেই।

যদি একাধিক ব্যক্তি শরীকে কোরবানি করেন, তবে মাংস সঠিকভাবে ওজন করে ভাগ করে নিতে হবে।

 

শান্ডা খাওয়া কি জায়েজ

মুরুব্বীদের পা ধরে সালাম করা জায়েজ

হায়েজ অবস্থায় কুরআন পড়ার বিধান

পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম কয়টি

তায়াম্মুমের পদ্ধতি

ওযুর ফরজ গোসলের ফরজ কয়টি

 

 

কোরবানি কয় নামে দেওয়া যায়

অন্যান্য নিয়ম:
কোরবানিদাতা যদি জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর কোরবানি সম্পন্ন না করা পর্যন্ত চুল ও নখ না কাটেন তবে এটি মুস্তাহাব।

হারাম বা অবৈধ পথে অর্জিত অর্থ দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ নয়।

কোরবানির পশু জবাই করার সময় কোনো প্রকার পারিশ্রমিক নেওয়া বা দেওয়া উচিত নয়।

কোরবানির পশু জবাই করার দোয়া:
কোরবানির পশু জবাই করার সময় এই দোয়া পড়া সুন্নত:

উচ্চারণ: ইন্নি ওয়াঝঝাহতু ওয়াঝহিয়া লিল্লাজি ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাওঁ ওয়া মা আনা মিনাল মুশরিকিন।

ইন্না সালাতি ওয়া নুসু কি ওয়া মাহইয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।

লা শারিকা লাহু ওয়া বিঝালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমিন। বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার।

আল্লাহুম্মা তাকাব্বাল মিন্নি (যদি নিজের নামে কোরবানি হয়)।

যদি অন্যের নামে কোরবানি করা হয় তবে “মিন্নি”-এর জায়গায় তার নাম উল্লেখ করতে হবে।

এই নিয়মগুলি অনুসরণ করে সঠিকভাবে কোরবানি আদায় করা যায়।

 

 

কুরবানী কত ভাগে দেওয়া হয়

ইসলামিক শরিয়াহ অনুযায়ী, কোরবানি ভাগে দেওয়া যায়। তবে এর কিছু নিয়মকানুন রয়েছে:

যেসব পশুতে ভাগে কোরবানি দেওয়া যায়:

 ১/ একটি গরুতে সর্বোচ্চ সাত জন শরীক হতে পারেন।

 ২/ মহিষেও সর্বোচ্চ সাত জন শরীক হতে পারেন।

৩/ একটি উটে সর্বোচ্চ সাত জন শরীক হতে পারেন।

যেসব পশুতে ভাগে কোরবানি দেওয়া যায় না:

 ৪/ একটি ছাগল বা ভেড়া শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে কোরবানি করা যায়।

 

 ৫/ ভেড়া: ছাগলের মতোই একটি শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে কোরবানি করা যায়।

 

 ৬/ দুম্বা ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য, এটি শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে কোরবানি করা যায়।

ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম

 ৭/ শরীকদের সংখ্যা গরুর ক্ষেত্রে সাতজনের বেশি হওয়া উচিত নয়।যদি বেশি হয়, তবে কারো কোরবানি শুদ্ধ হবে না।

 

প্রত্যেক শরীকের নিয়ত কোরবানি করাই হতে হবে। শুধু গোশত খাওয়ার নিয়তে শরীক হলে কারো কোরবানি শুদ্ধ হবে না।

 

 কোরবানির পশু কেনার সময় অথবা জবাই করার আগে শরীকদের সকলের সম্মতি থাকতে হবে।

 কোরবানির গোশত বণ্টনের সময় তা সঠিকভাবে ওজন করে ভাগ করতে হবে। অনুমান করে ভাগ করা জায়েজ নয়।

সুতরাং, গরু, মহিষ ও উটের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সংখ্যক শরীকের মাধ্যমে ভাগে কোরবানি দেওয়া

ইসলামী শরিয়াহসম্মত। তবে ছাগল, ভেড়া ও দুম্বার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একজনের পক্ষ থেকে কোরবানি দিতে হবে।

Follow My Facebook

Check Also

কোরবানীর ফজিলত ও তাৎপর্য যা আমাদের জানা প্রয়োজন

কোরবানীর ফজিলত ও তাৎপর্য যা আমাদের জানা প্রয়োজন

কোরবানীর ফজিলত ও তাৎপর্য যা আমাদের জানা প্রয়োজন কোরবানি কাদের উপর ওয়াজিব? কুরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *