ফরজ নামাজের পর নবীজির আমল
ফরজ নামাজের পর নবীজির আমল
একটি বিস্তারিত আলোচনা নবী করিম (সা.) ফরজ নামাজ আদায়ের পর বিভিন্ন আমল করতেন, যা মুসলমানদের জন্য সুন্নত হিসেবে প্রবর্তিত হয়েছে। এই আমলগুলো আদায় করার মাধ্যমে আমরা নবীজির সুন্নতের অনুসরণ করতে পারি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি।
নবীজির কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল:
ইস্তিগফার: নামাজ শেষে তিনবার ইস্তিগফার করা অর্থাৎ “আস্তাগফিরুল্লাহ” বলা সুন্নত। এতে গুনাহ মাফ হওয়ার আশা রাখা যায়।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ: নামাজ শেষে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শরিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর” এই দোয়াটি পাঠ করা।
আল্লাহুম্মা আন্তাস সালাম: নামাজ শেষে “আল্লাহুম্মা আন্তাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়া যাল-জালা-লী ওয়াল ইকরাম” এই দোয়াটি পাঠ করা।
অন্যান্য পোস্টের লিংক
১ মাসের শিশুর সর্দি হলে করণীয়
নামাজ ভঙ্গের কারণ সমূহ বিস্তারিত
বাচ্চাদের চোখে কেতুর হলে করণীয় কি
দরুদ শরীফ: নবীজির উপর দরুদ শরীফ পাঠ করা।
কুরআন তিলাওয়াত: নামাজ শেষে কুরআন তিলাওয়াত করা।
জিকির: বিভিন্ন জিকির করা যেমন, সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার।
দোয়া: বিভিন্ন দোয়া করা যেমন, রিযিকের দোয়া, সুস্থতার দোয়া, ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া।
ফজর ও মাগরিবের পর বিশেষ আমল
সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস: ফজর ও মাগরিবের নামাজ শেষে এই তিন সূরা পাঠ করা সুন্নত।রাদ্বীতু বিল্লাহি রাব্বা: ফজর ও মাগরিবের পর “রাদ্বীতু বিল্লাহি রাব্বা, ওয়াবিল ইসলামি দ্বীনা, ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা” এই দোয়াটি পাঠ করা।
ফরজ নামাজের পর আমল করার ফজিলত:
গুনাহ মাফ হওয়া: নিয়মিত এই আমলগুলো আদায় করলে আল্লাহ তাআলা গুনাহ মাফ করে দেন।
আল্লাহর সন্তুষ্টি: এই আমলগুলো আদায়ের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি।
নবীজির সুন্নতের অনুসরণ: এই আমলগুলো আদায় করে আমরা নবীজির সুন্নতের অনুসরণ করি।হৃদয়ের শান্তি: এই আমলগুলো আদায় করলে হৃদয় শান্তি পায় এবং মানসিক শান্তি অর্জিত হয়।
ফরজ নামাজের পর নবীজির আমলগুলো আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই আমলগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই আমলগুলো নিয়মিত আদায় করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
মনের আশা পূরণের দোয়া ও আমল:
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলের মনের আশা পূরণ করার ক্ষমতা রাখেন। তিনিই একমাত্র সত্যি কামনা পূরণকারী।
তবে আমাদেরকে সঠিক পদ্ধতিতে তার কাছে দোয়া করতে হবে এবং সঙ্গে সঙ্গে সৎকর্মে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখতে হবে।
মনের আশা পূরণের দোয়া
ইসমে আজম: হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ইসমে আজম দিয়ে দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা তা কবুল করেন। ইসমে আজম মূলত আল্লাহর মহান নাম। বিভিন্ন হাদিসে ইসমে আজমের বিভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায়।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর আমল
আল্লাহর সুন্দর নামগুলো: আল্লাহর সুন্দর নামগুলো দিয়ে দোয়া করলে তিনি সাড়া দেন। যেমন: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদু, লা-ইলাহা ইল্লা আংতাল মান্নান, বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্, ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়্যুম।
কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে দোয়া করার ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। যেমন: সুরা আল-বাকারা, সুরা আল-ইমরান ইত্যাদি।
নবীজির দোয়া: নবীজির দোয়াগুলো অনুসরণ করে দোয়া করলে তা অধিক ফজিলতপূর্ণ।
মনের আশা পূরণের আমল:
নিয়মিত নামাজ: নামাজ আল্লাহর সাথে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম। নিয়মিত নামাজ আদায় করলে আল্লাহ তাআলা আমাদের দোয়া কবুল করেন।
কুরআন তিলাওয়াত: কুরআন তিলাওয়াত করলে হৃদয় শান্তি পায় এবং আল্লাহর কাছে আরো কাছাকাছি হওয়া যায়।
জিকির: জিকির করলে হৃদয় পরিশুদ্ধ হয় এবং আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা বাড়ে। সদকা: সদকা করলে আল্লাহ তাআলা আমাদের রিযিক বৃদ্ধি করেন
এবং দোয়া কবুল করেন। তওবা: গুনাহের জন্য তওবা করলে আল্লাহ তাআলা তা ক্ষমা করে দেন এবং দোয়া কবুল করেন।
সুন্নতের অনুসরণ: নবীজির সুন্নতের অনুসরণ করলে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে ভালোবাসেন এবং দোয়া কবুল করেন। ইনশাআল্লাহ এই আমলগুলো করতে পারলে আল্লাহ তায়ালার দরবারে অবশ্যই আপনার দোয়া কবুল হবে,