ইসলামের পরিভাষায় ফেতরা বা ফিতরা হলো রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতরের দিন অভাবী ও দরিদ্রদের মাঝে খাদ্যশস্য বা তার সমমূল্যের অর্থ প্রদান করা। এটি ওয়াজিব বা অবশ্য পালনীয় একটি ইবাদত।

ফেতরা আদায়ের কারণ:

  • রোযার ত্রুটি দূরীকরণ: রমজান মাসে রোজা রাখার সময় আমাদের বিভিন্ন ভুল-ত্রুটি হতে পারে। ফেতরা আদায়ের মাধ্যমে সেই ত্রুটিগুলো দূর হয় এবং রোজা পরিপূর্ণতা লাভ করে।

ফিতরা কাদের উপর ওয়াজিব

  • গরীবদের প্রতি সহানুভূতি: ঈদের দিনে গরীব-দুঃখী মানুষও যাতে আনন্দ উপভোগ করতে পারে, সেজন্য ফেতরা আদায় করা হয়।

অন্যান্য পোস্টের লিংক

নামাজ ভঙ্গের কারণ সমূহ বিস্তারিত

ফরজ নামাজের পর নবীজির আমল

মিলাদ কিয়াম বাংলা কাসিদা

দুশ্চিন্তা ও বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া

স্বপ্নে অজু করতে দেখলে কি হয়

রাতে সূরা মুলক পড়ার ফজিলত

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত

জিনে আছর করার লক্ষণ

সাদকাতুল ফিতরা কখন দিতে হয়

  • সামাজিক সমতা: ফেতরা আদায়ের মাধ্যমে সমাজের ধনী ও গরীবের মধ্যে একটি সমতা তৈরি হয় এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধি পায়।

ফিতরা কিভাবে হিসাব করব

  • আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা: রমজান মাসে রোজা রাখার সুযোগ পাওয়ায় আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ ফেতরা আদায় করা হয়।

ফেতরা কাদের জন্য ওয়াজিব:

  • প্রাপ্তবয়স্ক ও সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিমের ওপর ফেতরা আদায় করা ওয়াজিব।

 

  • যার কাছে ঈদের দিন নিজের ও পরিবারের খরচ বাদে নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে, তার ওপর ফেতরা ওয়াজিব।

ফিতরা রোজার ভুল ত্রুটি দূর করার উপায়

  • নিজের পক্ষ থেকে ফেতরা আদায় করার পাশাপাশি পরিবারের নাবালক সদস্যদের পক্ষ থেকেও ফেতরা আদায় করা উত্তম।

ফেতরার পরিমাণ:

  • ফেতরার পরিমাণ খাদ্যশস্যের হিসেবে নির্ধারিত। যেমন- গম, খেজুর, কিসমিস, পনির ইত্যাদি।

 

  • বর্তমান সময়ে খাদ্যশস্যের পরিবর্তে এর সমমূল্যের অর্থ প্রদান করা হয়।
  • দেশ ও অঞ্চলভেদে ফেতরার পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে।

ফিতরা হলো রমজান মাসের শেষে ঈদের দিন দরিদ্র ও অভাবী মানুষদের মধ্যে বিতরণ করা একটি বিশেষ দান। এটি রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করে এবং ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব।

ফেতরা আদায়ের মাধ্যমে সমাজে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও সহানুভূতির প্রসার ঘটে।