Related Articles
১ মাসের শিশুর সর্দি হলে খুব সাবধান হওয়া জরুরি। এই বয়সে শিশুর শরীর এখনও খুবই নাজুক। সর্দি হলে শিশুকে আরামদায়ক রাখা এবং নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগলে কি করনীয়
- ডাক্তারের পরামর্শ: সর্দির লক্ষণ দেখা দিলে সবার আগে শিশু ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। ডাক্তার শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সঠিক নির্দেশনা দিবেন।
- শরীর উষ্ণ রাখা: শিশুকে হালকা গরম জামাকাপড় পরিয়ে রাখুন। ঘরের তাপমাত্রা আরামদায়ক রাখুন।
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম: শিশুকে যথেষ্ট পরিমাণে ঘুমের সুযোগ দিন।
১ মাসের শিশুর সর্দি হলে করণীয়
- নাক পরিষ্কার করা: নাক বন্ধ থাকলে লবণাক্ত পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করুন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নাকের ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।
- দুধ খাওয়ানো: শিশুকে বারবার বুকের দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। দুধ শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে।
- হাইড্রেশন: শিশুকে যথেষ্ট পরিমাণে তরল খাবার দিন।
- হাত পরিষ্কার: শিশুর যত্ন নেওয়ার আগে এবং পরে ভাল করে হাত ধুয়ে নিন।
বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগলে ঘরোয়া উপায় চিকিৎসা
- অন্যদের সংস্পর্শ থেকে আলা রাখুন: শিশুকে অন্যদের সংস্পর্শে আনবেন না।
- জ্বর থাকলে: জ্বর থাকলে শিশুকে ঠান্ডা স্পঞ্জ করতে পারেন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জ্বর নিরোধক ওষুধ দিতে পারেন।
কখন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবেন:
- শিশুর শ্বাসকষ্ট হলে
- শিশুর জ্বর 100.4 ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলে
১ মাসের শিশুর সর্দি হলে করণীয়
- শিশু খুব কান্নাকাটি করলে
- শিশু দুধ খাওয়া বন্ধ করে দিলে
- শিশুর ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে গেলে
ঘরোয়া কিছু উপায়:
- ভাপ: হালকা গরম পানির বাষ্প শিশুর শ্বাসনালীকে খুলে দিতে সাহায্য করতে পারে।
- শরীর ম্যাসাজ: হালকা গরম তেল দিয়ে শিশুর শরীর ম্যাসাজ করলে শিশু আরাম পেতে পারে।
নবজাতক শিশুর সর্দি হলে করণীয়
মনে রাখবেন:
- এক মাসের শিশুর জন্য কোনো ওষুধ দেওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
- শিশুর স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখুন এবং কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে এবং এটি কোনোভাবেই ডাক্তারের পরামর্শের বিকল্প নয়।
নবজাতকের ঠান্ডা লাগলে কিভাবে বুঝবো?
নবজাতক শিশুদের ঠান্ডা লাগলে বুঝতে পারা কিছুটা কঠিন হতে পারে, কারণ তারা নিজেদের মতো করে তাদের অসুস্থতা প্রকাশ করতে পারে না। তবে কিছু লক্ষণ দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার শিশু ঠান্ডা লাগতে পারে।
নবজাতকের ঠান্ডা লাগার লক্ষণ
- নাক দিয়ে পানি পড়া: নবজাতকের নাক দিয়ে পানি পড়া সর্দির একটি সাধারণ লক্ষণ।
- হাঁচি: হাঁচিও সর্দির একটি সাধারণ লক্ষণ।
- চোখ লাল হয়ে যাওয়া: চোখ লাল হয়ে যাওয়া এবং চোখ থেকে পানি পড়াও সর্দির লক্ষণ হতে পারে।
- কান চুলকানো: কান চুলকানো এবং কানে ব্যথাও সর্দির সাথে যুক্ত হতে পারে।
- খাওয়া কমানো: সর্দির কারণে শিশু দুধ খাওয়া কমিয়ে দিতে পারে।
- জ্বর: হালকা জ্বরও সর্দির একটি লক্ষণ হতে পারে।
- অস্থিরতা: শিশু অস্বস্তিতে থাকতে পারে এবং বেশি কান্নাকাটি করতে পারে।
- শ্বাসকষ্ট: কখনো কখনো সর্দির কারণে শিশুর শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
যদি আপনার শিশুর এই ধরনের কোনো লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন
বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগলে কলা খাওয়ানো যাবে কিনা
- বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগলে কলা খাওয়া নিয়ে অনেকের মধ্যে একটি ভুল ধারণা রয়েছে।
সত্য হল, কলা খেলে ঠান্ডা লাগে এটা একটি মিথ্যা ধারণা। কলাতে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ রয়েছে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
তবে কিছু ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি:
- অ্যালার্জি: যদি আপনার বাচ্চার কোনো ধরনের অ্যালার্জি থাকে, বিশেষ করে খাবারের অ্যালার্জি, তাহলে কোনো নতুন খাবার খাওয়ানোর আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- শ্লেষ্মা: কলা খেলে শরীরে শ্লেষ্মা বাড়তে পারে। যদি আপনার বাচ্চার ইতিমধ্যে কাশি বা সর্দি থাকে, তাহলে শ্লেষ্মা বাড়ার কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।
- পরিমাণ: যদি আপনার বাচ্চার কোনো সমস্যা না হয়, তাহলে পরিমিত পরিমাণে কলা খাওয়াতে কোনো সমস্যা নেই।
বাচ্চাদের সাগর কলা খাওয়ানো যাবে
সারসংক্ষেপ:
সাধারণত কলা খাওয়া ঠান্ডা লাগার কারণ নয়।
অ্যালার্জি বা অন্য কোনো সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
পরিমিত পরিমাণে কলা খাওয়া উপকারী।